পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি মেলেনি : বিধায়কের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থী রা

3rd September 2020 11:58 am বাঁকুড়া
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি মেলেনি : বিধায়কের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থী রা


তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) : সরকারি পরীক্ষায় পাশ করার পরও তারা দীর্ঘদিন  চাকরি পাচ্ছেন না । শিক্ষা মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের নিয়োগ আটকে রয়েছে। এরই ফলস্বরূপ পাত্রসায়ের ইন্দাস এলাকার ২০১৫ সালের প্রাইমারি টেট পাস বর্তমানে ডি.এল.এড  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীরা লিখিত আকারে একটি স্মারকলিপি জমা দিলেন  ইন্দাস বিধানসভার বিধায়ক  গুরুপদ মেটে  এর কাছে । তাদের অভিযোগ , ২০১৫ সালে তারা প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর D.El.ed প্রশিক্ষন সম্পন্ন  করেন । তারপরেও তাদের নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা চলছে। এবং তারা আরো জানান এর আগেও বিভিন্ন সরকারি  দপ্তরে তারা ডেপুটেশনে র মাধ্যমে  স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
তাদের  দাবি:
🔵  ২০১৫ সালের প্রাইমারি টেট পাস, এবং ডি.এল.এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমন ১২০০ জন প্রার্থীদেরকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষিত পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক পদে অবিলম্বে সরাসরি নিয়োগ।
🔵 নতুন পরীক্ষা ছাড়াই ( ২০১৫ এর টেট) পরীক্ষার সাপেক্ষেই আমাদেরকে সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। যেভাবে ২০১৪-১৬ এবং আর সি আই ২০১৫-১৭ সরাসরি নিয়োগপত্র পেয়েছিল।
🔵  বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করেছেন, এবং এরপরও ৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী চলতি বছরের যুক্ত হয়েছে। সেজন্য অনেক শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষক -  প্রয়োজনে অবিলম্বে আমাদের নিয়োগ
সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে যাতে তাদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয় তার আরজি জানিয়েছেন তারা, যদিও এ বিষয়ে ইন্দাস বিধানসভার বিধায়ক গুরুপদ মেটে এখনই কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি ।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।